শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক আসামি রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছে। এই নিয়ে এই মামলা গ্রেপ্তার ৭ জনের মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
কক্সবাজার সদর থানার এ সংক্রান্ত মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস। তাকে এই মামলায় তদন্ত সহায়তা প্রদান করছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ ৪ কর্মকর্তাকে নিয়ে গঠিত হয়েছে তদন্ত সহায়ক কমিটি।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন, গভীর সাগরে একটি ট্রলারকে ঘীরে ১০ জনকে পিটিয়ে হাত পা বেঁধে কোল্ড স্টোরেজের বা হিমঘরে বন্ধি করে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যবহার হওয়া ৫ টি ট্রলারে মালিকদের নামও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যেসব ট্রলারে অংশ নিয়ে ছিলেন ৪০-৫০ জন। যার মধ্যে অনন্ত ৩০ জনের নাম পরিচয়ও পাওয়া গেছে। ঘটনায় অন্যতম বাস্তবায়নকারিদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পুরো ঘটনা পরিষ্কার হওয়া যাবে। যাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল তৎপর রয়েছে।
এ মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছেন মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকার এস্তেফাজুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা ৪ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত টানা দেড় ঘন্টা কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন দেলোয়ার। এই দেলোয়ার মাতারবাড়ি এলাকার আবছার মাঝির ট্রলারের বার্বুচি ছিলেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে এর বিস্তারিত বলতে রাজী হননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আদালত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, এই মামলায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করলেও একজন তা দেননি। এর আগে ৯ মে মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছেন মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেন, গত ৪ মে আদালতে জবানবন্দি দেন চকরিয়ার বদরখালী এলাকার মো. নুর নবীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন মুনির। এ ছাড়াও এই মামলায় বাঁশখালীর বাসিন্দা ফজল কাদের মাঝি ও আবু তৈয়ুব মাঝি এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ির কামাল হোসেন প্রকাশ বাইট্টা কামাল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। গ্রেপ্তারের মধ্যে মামলার ৪ নম্বর আসামি ট্রলার মাঝি করিম সিকদার জবানবন্দি প্রদান করেননি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, এদের পুলিশের রিমান্ডে পাওয়া তথ্য, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ঘটনার রহস্য উন্মোচনের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। গভীর সাগরে ট্রলারে ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে বাইট্টা কামাল, করিম সিকদার নুর হোসাইন বহদ্দার, আবছার মাঝি এবং বাবুল মাঝির ৫ টি ট্রলার। যে সব ট্রলারে ৪০-৫০ জন হত্যাকান্ডে অংশ নেন। বাইট্টা কামাল, দেলোয়ার, কাউন্সিলর খায়ের, গিয়াস উদ্দিন মুনীর জড়িতদের মধ্যে ইতিমধ্যে অনন্ত ৩০ জনের নাম পরিচয় দিয়েছেন। এই ঘটনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব প্রদান করেছে সোনাদিয়া এলাকার আত্মসমর্পনকারি সুমন ডাকাতের নেতৃত্বে কয়েক জন। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে ঘটনার পুরো রহস্য জানতে পারবে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, সোনাদিয়া কেন্দ্রিক ডাকাত চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার হওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত গত ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধিন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা নামবিহীন ট্রলারটিকে নাজিরারটেক উপক‚লে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়ে গেছে ৪ জনের মরদেহ ও কংকালটি। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ ৫ জনের পরিচয়। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল নামবিহীন ট্রলারটির মালিক নিহত সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৬০ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক আসামি রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছে। এই নিয়ে এই মামলা গ্রেপ্তার ৭ জনের মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
কক্সবাজার সদর থানার এ সংক্রান্ত মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস। তাকে এই মামলায় তদন্ত সহায়তা প্রদান করছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ ৪ কর্মকর্তাকে নিয়ে গঠিত হয়েছে তদন্ত সহায়ক কমিটি।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন, গভীর সাগরে একটি ট্রলারকে ঘীরে ১০ জনকে পিটিয়ে হাত পা বেঁধে কোল্ড স্টোরেজের বা হিমঘরে বন্ধি করে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যবহার হওয়া ৫ টি ট্রলারে মালিকদের নামও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যেসব ট্রলারে অংশ নিয়ে ছিলেন ৪০-৫০ জন। যার মধ্যে অনন্ত ৩০ জনের নাম পরিচয়ও পাওয়া গেছে। ঘটনায় অন্যতম বাস্তবায়নকারিদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পুরো ঘটনা পরিষ্কার হওয়া যাবে। যাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল তৎপর রয়েছে।
এ মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছেন মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকার এস্তেফাজুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা ৪ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত টানা দেড় ঘন্টা কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন দেলোয়ার। এই দেলোয়ার মাতারবাড়ি এলাকার আবছার মাঝির ট্রলারের বার্বুচি ছিলেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে এর বিস্তারিত বলতে রাজী হননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আদালত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, এই মামলায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করলেও একজন তা দেননি। এর আগে ৯ মে মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছেন মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেন, গত ৪ মে আদালতে জবানবন্দি দেন চকরিয়ার বদরখালী এলাকার মো. নুর নবীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন মুনির। এ ছাড়াও এই মামলায় বাঁশখালীর বাসিন্দা ফজল কাদের মাঝি ও আবু তৈয়ুব মাঝি এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ির কামাল হোসেন প্রকাশ বাইট্টা কামাল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। গ্রেপ্তারের মধ্যে মামলার ৪ নম্বর আসামি ট্রলার মাঝি করিম সিকদার জবানবন্দি প্রদান করেননি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, এদের পুলিশের রিমান্ডে পাওয়া তথ্য, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ঘটনার রহস্য উন্মোচনের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। গভীর সাগরে ট্রলারে ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে বাইট্টা কামাল, করিম সিকদার নুর হোসাইন বহদ্দার, আবছার মাঝি এবং বাবুল মাঝির ৫ টি ট্রলার। যে সব ট্রলারে ৪০-৫০ জন হত্যাকান্ডে অংশ নেন। বাইট্টা কামাল, দেলোয়ার, কাউন্সিলর খায়ের, গিয়াস উদ্দিন মুনীর জড়িতদের মধ্যে ইতিমধ্যে অনন্ত ৩০ জনের নাম পরিচয় দিয়েছেন। এই ঘটনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব প্রদান করেছে সোনাদিয়া এলাকার আত্মসমর্পনকারি সুমন ডাকাতের নেতৃত্বে কয়েক জন। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে ঘটনার পুরো রহস্য জানতে পারবে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, সোনাদিয়া কেন্দ্রিক ডাকাত চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার হওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত গত ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধিন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা নামবিহীন ট্রলারটিকে নাজিরারটেক উপক‚লে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়ে গেছে ৪ জনের মরদেহ ও কংকালটি। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ ৫ জনের পরিচয়। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল নামবিহীন ট্রলারটির মালিক নিহত সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৬০ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply